হাঁসের ডিম খেলে শরীরে কি লাভ হয়

 ডায়রিয়া হওয়ার কারণ আজকে আমাদের মূল বিষয় হলো হাঁসের ডিম খেলে শরীরে কি লাভ হয় ।হাঁসের ডিম খেতে অনেক সুস্বাদু।আমরা অনেকেই জানি না হাসির ডিম খেলে কি হয় বা হাঁসের ডিম খাওয়ার ক্ষতিকর দিক আছে।তাই আমরা এরকম সব বিষয় নিয়ে কথা বলব তাই আপনি আর্টিকেলটি পুরাটা ভালো করে পড়বেন।

হাঁসের ডিম খেলে শরীরে কি লাভ হয়

আমরা এখানে আরও লিখেছি হাঁসের ডিমে কি এলার্জি আছে।তাহলে জেনে নেওয়া যাক হাসির ডিম খেলে শরীরে কি লাভ হয়।

ভূমিকা

আপনি কি জানতেন হাঁসের ডিমে থাকা ভিটামিন বি ১২ শরীরের হৃদরোগ এবং ক্যান্সারের ঝুকি কমাতে সাহায্য করে।হাঁসের ডিমের খোসা শক্ত হওয়ায় হাঁসের ডিম ৬ সপ্তাহ পর্যন্ত খাওয়ার যোগ্য হয়ে থাকে।শুধু ১০০ গ্রাম হাঁসের ডিমে 175 কিলো ক্যালরি এনার্জি হিসেবে পাওয়া যায়। হাঁসের ডিমে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন থাকে।হাঁসের ডিমে আছে সেলেনিয়াম যেটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় সাহায্য করইয়।হাঁসের ডিমে আরও রয়েছে ভিটামিন এ যা দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে, রক্ত এবং ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।

হাঁসের ডিমের ক্ষতিকর দিক

হাঁসের ডিম পুরোটাই উপকারিতা দিয়ে ভরপুর তবুও সব জিনিসের যেমন অপকারিতা আছে হাঁসের ডিমের ও আছে এটি খাওয়ার কিছু ক্ষতিকর দিক হলোঃ
  • অনেকে আছে যাদের হাসির ডিমে এলার্জি রয়েছে তাই তাদের হাঁসের ডিম খাওয়া ভালো নয় যাদের এলার্জি রয়েছে এবং তারা যদি হাঁসের ডিম খায় তাহলে তাদের শরীরের ছোট ছোট ফুসকুড়ি এবং চুলকানি হতে পারে।
  • ডায়াবেটিস রোগী এবং বহুমূত্র রোগে আক্রান্ত রোগীদের জন্য হাঁসের ডিম খাওয়া বারণ হয়ে থাকে।কারণ হাঁসের ডিমে প্রচুর পরিমাণে কোলেস্টেরল থাকে এবং এই রোগীদের উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরল হৃদরোগের জন্য দাবি হতে পারে।
আরো পরুনঃপৃথিবীর ১০ টি সবচেয়ে বৃহত্তম পর্বত
  • কিছু মানুষ আছে যাদের হাঁসের ডিম খেলে বমি বা ডায়রিয়ার মত সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে।আর শিশুদের এমন হওয়া সম্ভব না বেশি হয় তাই হাসির ডিম খাওয়ানোর জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারে।
  • হৃদরোগ ও ডায়াবেটিস এবং কোলেস্টেরলের সমস্যা জনিত রোগীদের জন্য হাঁসের ডিম খাওয়ার জন্য ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ নিতে পারে।

হাঁসের ডিম খেলে কি ঠান্ডা লাগে

সাধারণত ঠান্ডা লাগার সাথে খাওয়ার কোন সম্পর্ক নেই।তাই আমরা বলতে পারি কোন খাবার খেলেই ঠান্ডা লাগে না অবশ্যই আইসক্রিম বাদে।পরিমাণ মতো আইসক্রিম না খেলে জ্বর বা ঠান্ডা লাগার সম্ভাবনা অনেক। হাঁসের ডিম খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় তাই আপনি যদি হাঁসের ডিম খান তাহলে ঠান্ডা লাগবে না কিন্তু ঠান্ডা লাগা থেকে দূরে রাখবে।

হাঁসের ডিম খাওয়ার উপকারিতা-হাঁসের ডিমের উপকারিতা

মুরগির ডিমের চেয়ে হাঁসের ডিমে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট ,ওমেগা থ্রি, প্রোটিনের থাকে। যারা হাই প্রোটিন ডায়েট বা পোলেও ডায়েট করে থাকে তাদের জন্য হাঁসের ডিম অনেক উত্তম।হাসির ডিমে প্রচুর পরিমাণে বি ১২ থাকে যা আমাদের শরীরের রেড ব্লাডসের তৈরি করতে সাহায্য করে এবং ডি এন  সিন্থেসিস এবং সুস্থ স্নায়ুতন্ত্রের গঠনের জন্য প্রচুর ভালো।
যারা হাঁসের ডিম খায় তাদের হৃদযন্ত্র সুস্থ থাকে কারণ এতে হৃদযন্ত্র সুস্থ করার উপকারিতা রয়েছে।ডিমের ভিতর থাকে বহু উপাদান যেমন ভিটামিনের এ, ভিটামিন বি.১২ ,ভিটামিন ডি।হাসির ডিমে সাধারণত ৭৫টি ক্যালরতি, পাঁচ গ্রাম ফ্যাট প্রোটিন আছে ৬ গ্রাম পটাশিয়াম রয়েছে ৬৭ মিলিগ্রাম ৭০ গ্রাম সোডিয়াম এবং ক্যাস্ট্রল রয়েছে ১৮৭-২১০ গ্রাম।

হাঁসের ডিমে কি এলার্জি আছে

হাঁসের ডিমের এলার্জি হওয়ার কথা নয় কিন্তু খুবই কম পরিমাণ মানুষেরই হাসির ডিমে এলার্জি রয়েছে। আর এটি জানার জন্য আপনাকে হয় ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে অথবা একটি হাঁসের ডিম খেয়ে দেখতে হবে আর একটি হাঁসের ডিম উপকারিতা ভরপুর তাই বহু মানুষেরই খেতে পারে।

হাঁসের ডিম খেলে কি প্রেসার বাড়ে

অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে হাঁসের ডিম খেলে কি প্রেসার বাড়ে? কিন্তু এটির উত্তর খুবই সোজা।না,হাঁসের ডিম খেলে প্রেসার বাড়ে না।প্রেশার বাড়ার মূল কারণ হচ্ছে শরীরের ফ্যাট।আর শরীরে ফ্যাট বাড়ার কারণ হচ্ছে সুগার জাতীয় খাদ্য বা চিনি।যেই খাদ্যে সুগার রয়েছে সেই খাদ্য খেলে ফ্যাট বাড়ে আর ফ্যাট শরীরের জন্য ভালো নয়।
আপনি যদি চান আপনার প্রেশার না বাড়ুক তাহলে আপনাকে সুগার জাতীয় খাদ্য থেকে বিরত থাকতে হবে।আর আপনি সহজেই হাঁসের ডিম খেতে পারবেন।সুগার জাতীয় খাদ্য না খেলে আপনার প্রেসারও বাড়বে না।তবে হাঁসের ডিম প্রেসার কমতে সাহায্য করে। 

লেখকের মন্তব্য

আমার নিজের মতে হাঁসের ডিম খুবই পুষ্টিকর খাদ্য তাই হাঁস ডিম খাওয়া খুবই ভালো।সাধারণত কারোরই হাঁসের ডিম খেলে কোন ক্ষতি হয় না তাই প্রায় সবাই হাঁসের ডিমের সুস্বাদু স্বাদ গ্রহণ করতে পারে।আপনি যদি পুরো আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন তাহলে আপনি হাঁসের ডিম খেলে শরীরে কি লাভ হয় তা সম্পর্কে অনেক তথ্য পেয়েছেন।তাই আপনার যদি পোস্টটি ভালো লেগে থাকে একটি কমেন্ট করবেন এবং শেয়ার করে দিবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url