কলার প্রজাতি সম্পর্কে উপকারিতা ও অপকারিতা

হাসির ডিম খেলে শরীরের প্রভাব আজকে আমাদের মূল বিষয় হচ্ছে কলা সম্পর্কে।আপনার কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা জানা উচিত এবং কোন জাতের কলা আপনার খাওয়া উচিত।কলা সম্পর্কে আপনার যা জানা উচিত আমরা সব বিষয় নিয়ে কথা বলার চেষ্টা করেছি তাই পোস্টটি পুরোটা পড়বেন।
কলার প্রজাতি সম্পর্কে উপকারিতা ও অপকারিতা

আমরা আরো কথা বলেছি সবরি কলা সম্পর্কে।আমরা এখানে আরো কথা বলেছি অমৃতসাগর ও দুধসর কলার জাত নিয়ে।পোস্টটি পুরোটা পড়বেন তাহলে আপনি বেশি ভালো করে জানতে পারবেন।

ভূমিকা

আমরা সকলেই কলা একবার না একবার খেয়েছি।কলা সারা বছর হ্য।আমরা সাধারণত পাকা কলা খেয়ে থাকি।এখন আনেকেই জানতে চায় কলা নিয়ে।যেমন অগ্নিশ্বর এই কলার প্রজাতি সাধারন কলার তুলনায় অনেক গুন বড় হ্য।এই প্রযাতির কলার গাছ প্রায় তাল গাছের সমার বড় হয়।তারপর চিনিচাম্পা এই প্রজাতির কলা চাষ করলে হেক্টর প্রতি ফলন ১২ - ১৫ টন হয়।বাকি সকল তথ্য আপনি পুরা পোস্ট পড়লেই জান্তে পারবেন।

সবরি কলা

সবরি কলা দক্ষিণ এশিয়ার কলার এটি স্থানীয় প্রজাতি। এটির পরিসর ভারত উপমহাদেশ সহ এশিয়ার দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চল নিয়ে গঠিত। আধুনিক ভদ্র মিষ্টান্ন কলা গুলির মধ্যে অনেকগুলো এই প্রজাতির যদিও অল্প পরিমাণের মুসা বালবিসিয়ানা সহ হাইব্রিড।মানুষ ১০ হাজার বছর ধরেই এই প্রজাতির উদ্ভিদকে গৃহপালিত ভাবে চাষ করে আসছে।
এই জাতের কলা বাংলাদেশ, ভারত, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, ইত্যাদি দেশে উৎপাদিত হয়ে থাকে। কলা কাঁচা হলে সবুজ রঙের এবং পেকে গেলে হলুদ রঙের বর্ণ ধারণ করে। সবরি কলা পাকা অবস্থায় খুবই মিষ্টি এবং এটিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-এ, ভিটামিন-সি এবং ফাইবার রয়েছি।

অগ্নিশ্বর কলা

অগ্নিশ্বর হচ্ছে এমন একটি কলার জাত যা সাধারন কলার থেকে কয়েকগুণ বড়। এই কলার গাছ ইন্দোনেশিয়ায় পাওয়া যায়। অনেক প্রত্নতাত্ত্বিকদের ধারণা এই প্রজাতির কলার গাছ দেশটির পশ্চিম পাপুয়ার দুর্গম আরাকাফ পর্বতে ১০০০০ বছর পূর্ব থেকেই পাওয়া যায়। এই জাতের কলা পাপুয়ার বনাঞ্চলে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৫০০- ৩৫০০ ফুট উচ্চতায় জন্মায়।
এই কলার আঞ্চলিক নাম ‘জায়ান্ট হ্যাইলেন্ড বানানা’। অগ্নিশ্বর কলার গাছগুলিও সাধারণ কলার গাছের থেকে খুবই বড় গাছগুলির উচ্চতা ৯৮ ফুট পর্যন্ত হয়। গাছগুলোর পাতার আকার ১৬ ফুট লম্বা হয়। এই অগ্নিশ্বর কলা পেকেছে কিনা বুঝা যায় না তাই আবাসিরা একটি পদ্ধতি ব্যবহার করে, পদ্ধতি হলো যখন পাখি কলা খেয়ে নিচে ফেলতে শুরু করে তখন তারা বুঝে যায় কলা পেকে গেছে।

অমৃত সাগর কলা

অমৃত সাগর বাংলাদেশের সবচেয়ে পছন্দকিত কলার প্রজাতি। নরসিংদীতে এই চিনিচাম্পা কলা বেশি চাষ হয়।আনেক গবেষণার প্র জানা গেছে যে অমৃতসাগর কলা মুঘল আমল থেকে চাষ হয়ে আসছে।কলা চাষের জন্য নরসিংদীর মাটি উপযোগী।অমৃতসাগর কলা চাষের জন্য নরসিংদীর মাটির প্রয়োজন আর অন্য কোনো মাটিতে সহজে হয় না।

অমৃত সাগর কলা প্রচুর জনপ্রিয় কারণ হলো এটি খুবই সুস্বাদু এবং মিষ্টি। সাগর কলার গড় গুচ্ছ ওজন ১০ কেজি পর্যন্ত হয়। কলা গুলো মাঝারি সাইজের হয়।

চিনিচাম্পা কলা

চিনিচাম্পা কলা হচ্ছে এমন কলার প্রজাতি যেটাতে অপ্ল প্রিমানে বীজ থাকে।আকারে চাঁপার কলার তুলনায় ছোট। পাক্লে উজ্জল হলুদ রং ধারন করে। পাকা অবস্থায় খুবি মিষ্টি।চিনিচাম্পা কলার খোসা খুব পাতলা। চিনিচাম্পা কলার শতক প্রতি ফলন ৫০ - ৬০ কেজি এবং হেক্টর প্রতি ফলন ১২ - ১৫ টন। কলা শক্তভাবে গাছে গুচ্ছ গুচ্ছে তৈরি হয়।
কলাগুলো থেকে খোসা খুবই সহজে সরানো যায় খোসা খুবই মসৃণ হয়। চিনি চম্পা কলা পাকলে মিষ্টি স্বাদ ধারণের সাথে টক সুগন্ধ প্রকাশ করে।

যা জানতে পারলাম

কলার প্রজাতির নাম

  বীজযুক্ত কলা

উৎপাদিত স্থান

  জনপ্রিয় স্থান

সবরি

না

ভারত উপমহাদেশ সহ এশিয়ার দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চল

ভারত ও বাংলাদেশ সহ বহু অঞ্চলে

অগ্নিশ্বর

না

ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম পাপুয়ার দুর্গম আরাকাফ পর্বতে

ইন্দোনেশিয়া সহ বহু এশিয়ার দেশ

অমৃতসাগর

না

বাংলাদেশের নরসিংদীতে 

সারা বাংলাদেশে

চিনিচাম্পা

আল্প পরিমাণে

বাংলাদেশের নরসিংদীতে

সারা বাংলাদেশে


আমাদের মন্তব্য

আমাদের মন্তব্য হলো আপনার সকল ধরনের কলা খাওয়া উচিত। করা হচ্ছে এমন ফল যা সবারই পছন্দ তাই যে কোন কলার প্রজাতি হোক না কেন আপনার পছন্দ হবেই।আর আপনি যদি এই টি পড়ে  কলার প্রজাতি সম্পর্কে উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে থাকেন তাহলে পোস্টটি কমেন্ট এবং শেয়ার করবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url