দেশি কুকুর পালন পদ্ধতি - কুকুরের খাবার তালিকা সমুহ
পৃথিবীর দশটি বৃহত্তম পর্বতআমরা জানি আপনি কুকুর পালন করার কথা ভাবছেন। তাই আপনি জানতে চাচ্ছেন কুকুর পালন পদ্ধতি কি।তাই আপনার জন্যই এই পোস্টটি লেখাহয়েছে।আপনি জদি এই পোস্টটি পুরাটা না পড়েন তাহলে আপনি আনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য না যানেন তাহলে আপনার কুকুরের ক্ষতি সাধন হতে পারে।
আপনি যদি জানতে চান কুকুরকে কি খাওয়াবেন, কুকুর পালন করতে হলে কি কি জানা উচিত, কুকুরকে পালন করতে কি কি জিনিসপত্র দরকার তা সম্পর্কেও আমরা নিচে লিখেছি তাই আপনি মনোযোগ সহরকারে।
ভূমিকা
কুকুর যেহেতু ভালোবাসার প্রানি, তাই তাদের ভালো ভালো খাবার খাওয়াতে হবে।কুকুর খুব খেলা-ধুলা করে তাই আপনি কখনো বিরক্ত হবেন না।কুকুরকে আপনি কি কি খাওয়াবেন তা সম্পর্কিত তথ্য। কুকুর পালন করতে হলে আপনার আনেক দায়িত্ব নিজের হাতে নিতে হবে।কুকুর আনেক অনুগত নিজের মালিকের প্রতি।তাই আপনার কুকুর আপনার আশে-পাশে থাকলে আপনার কোনো ক্ষতি হওয়া সম্ভব নেই বললেই চলে।কুকুর নিজের জীবন দিতে পারবে নিজের মালিককে বাঁচানোর জন্য।
আরো পরুনঃ পৃথিবীর ১০ টি সবচেয়ে বৃহত্তম পর্বত
কুকুর পালন পদ্ধতি কুকুর কিছু এমন প্রাণীর মধ্যে একটি যা আমরা আমাদের আশেপাশে আনেক দেখতে পাই।আমাদের মতো আনেক মানুষ আছে যারা কুকুর ভালোবাসি এবং পালন করতে চাই।তখন আমরা জানতে চাই যে কুকুর কিভাবে পালন করতে হয়।তাই আমারা আগে জানবো কুকুর কিভাবে পালোন করতে হয়।
কুকুর হচ্ছে এমন প্রাণী যা নিজের জীবন বাজিরেখে তার মালিকে বাচায়।তারা তাদের মালিকের প্রতি অনেক সৎ।সুধু কুকুরকে বাড়িতে আনলেই তা পালিত কুকুর হয় না তার খেদমত (দেখা সোনা) করতে হয়।
কিছু বিষয়ে যা কুকুর পালার আগে জেনে নেওয়া উচিত
কুকুরপালার আগে কিছু জিনিস খেয়াল রাখতে হবে তা হলো-
- কুকুর ঘরে আনার আগে বাসার সবার মতামত নিয়ে নিবেন।কারণ বাড়িতে কারো কুকুরে অ্যালার্জি থাকতে পারে। বাড়িওয়ালা এবং প্রতিবেশীর মতামতও জেনে নিবেন।
- কুকুর একটি ছোটো শিশুর মতো তারা খেলা-ধুলা করতে ভালো বাসে তাই তাদের সাথে খেলার সময় থাকতে হবে।তাদের সাথে না খেললে তারা ডিপ্রেশনে চলে যায়। যা তাদের শরীরের জন্য ভালো না। যদি আপনি কুকুরটিকে সময় দিতে পারেন তাহলে তাকে আপনি প্রশিক্ষণ করতে পারবেন
- যদি আপনি নতুন একটি ছোট কুকুর পালন করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই তাকে শুরু থেকে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। তাই তার পিছে অনেক সময় ব্যয় করতে হবে। তা যদি সম্ভব না হয় তাহলে আপনি একটি প্রশিক্ষিত কুকুর নিতে পারেন যা আপনার বহু সময় বাঁচাতে সাহায্য করবে।
- কুকুরকে অবশ্যই কিছু সময় বাইরে ঘুরাতে অথবা খেলতে নিয়ে যেতে হবে যা তাদের মানসিকভাবে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে। সম্ভব হলে দিনে দুইবার আধা ঘন্টা করে খেলার সময় দিতে হবে।
- যদি আপনি বড় আকারের কুকুর পালন করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে যে একটি বড় কুকুরের জন্য বড় জায়গা লাগে এর ফলে আপনার ঘরের আশেপাশের পরিবেশ কুকুরের উপযোগী হওয়া প্রয়োজন। আপনি যদি এপার্টমেন্টে থাকেন তাহলে ছোট কুকুর নেওয়া আপনার জন্য ভালো।
- আপনাকে জেনে নিতে হবে যে কুকুরের প্রতি অনেক খরচ করতে হয় যেমন কুকুরের জন্য বিশেষ খাদ্য, খেলনা, vaccine এবং সময় মত ডাক্তার দেখানোর প্রয়োজন।
- কুকুর পালন করতে চাইলে কুকুরের কিছু জিনিস লাগে যেমন কুকুরের জন্য আলাদা খাদ্য,আলাদা পাত্র,থাকার জন্য আলাদা জায়গা ইত্যাদি
- কুকুর খেলতে গেলে নানান জিনিস মুখে নেয় তাই ক্ষতিকর জিনিস কুকুরের আসেপাসে রাখা যাবে না।
কুকুরের খাবার তালিকা সমুহ
প্রায় সব কুকুর মাংসাশী হয় তবে তারা প্রায় সব ধরনের খাবার খেয়ে থাকে।কিন্তু বেওয়ারিশ কুকুরগুলোর যেহেতু কোন মালিক নেই তাই তারা যথাসময়ে খাবার পায় না সেহেতু তারা অন্যান্য প্রাণী শিকার করে।তারা সাধারণত পাখির মাংস,হাঁস,মুরগি ইত্যাদি শিকার করে এবং তারা হজমকৃত উদ্ভিজ্জ খেয়ে থাকে।যেহেতু কুকুর একটি মাংসাশী প্রাণী তাই তারা খুব অল্প পরিমাণের সামান্য পরিমাণে উদ্ভিজ্জ খেয়ে থাকে।
আরো পরুনঃ যে যে হাঁস পালন পদ্ধতি আপনার জানা উচিত
আপনি যেহেতু কুকুর পালন করবেন এবং আপনি কুকুরকে ভালোবেসে রাখবেন তাই তাদের যেসব খাবার খাওবেন যা তাদের বৃদ্ধি এবং শরীরের জন্য প্রয়োজন।তাই তাদের উন্নত মানের ড্রাই ফুড (Dry Food), ক্যান ফুড(Canned Food), ইত্যাদি।এসব খাবারে সেসব গুণ আছে যা একটি কুকুরের বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন।
ড্রাই ফুড আপনি আপনার বাড়ির আশেপাশে যে কোন দোকানে পেয়ে যেতে পারেন অথবা অনলাইন কিনতে পারেন ক্যান ফুড আশেপাশে পাওয়া কঠিন তাই তাও অনলাইনে কিনতে হতে পারে।পারলে আপনি আপনার কুকুরের জন্য প্রিমিয়াম কোয়ালিটির খাবার কেনার চেষ্টা করবেন এবং তার মেয়াদ দেখে কিনবেন।
আপনি যদি এগুলো ছাড়া অন্য কিছু খাওয়াতে চান তাহলে আপনি সহজেই অন্যান্য খাবার যেমন মাংস(মুরগি,ভেড়া ,গরু ইত্যাদি), ডিম ,হার ,এবং বিভিন্ন উদ্ভিজ্জ খাওয়াতে পারেন।আপনার যদি একটি কুকুরে থাকে এবং কুকুরটির দাঁতে অথবা মারিতে কোন সমস্যা থাকে তাহলে হাড় বা হার জাতীয় কিছু খাওয়াবেন না।
কুকুরের যদি মাড়িতে অথবা দাঁতে কোন সমস্যা না হয়ে থাকে তাহলে খুবই সীমিত আঁকারে হার খাওয়াবেন।আপনি পারলে কোন পশু ডাক্তারের কাছে গিয়ে আপনার কুকুরের জন্য পরামর্শ নিতে পারেন।
আরো পরুনঃ হাঁসের ডিম খেলে শরীরে কি লাভ হয়
আপনি যদি ভেবে থাকেন মাংস বাচ্চাটা খাওয়াবেন নাকি রান্না তা তাহলে জেনে রাখুন রান্না কৃত মাংস তেলে ভর্তি হতে পারে তাই তার কুকুরের জন্য এবং কুকুরের শরীরের জন্য ভালো না তাই আপনি সেদ্ধ মাংস খাওয়াতে পারেন।সিদ্ধ মাংস ছাড়া আপনি ভাত,পাস্তা খাওয়াতে পারেন।মাঝেমধ্যে সেদ্ধ করা সবজি খাওয়াতে পারেন সবজিগুলো হতে পারে মিষ্টি কুমড়া, গাজর ,ব্রকলি, ইত্যাদি।
কুকুরের খাবার পরিমান
খাবারের পরিমাণ নির্ভর করে কুকুরের বয়স, আকার, এবং কুকুরের পরিমাণে উন্নতি ভিত্তিতে. যদি আমরা বলি তাহলে কুকুরের প্রতিদিনের খাবার হওয়া উচিত তার প্রতি কেজি ওজনের ৪% থেকে ১০% ।এবং এই পরিমাণ প্রতিদিনের তাই কুকুরকে প্রতিদিন এই পরিমাণেই খাওয়াতে হবে।
মাত্র টি হলো বেশিরভাগ প্রজাতির কুকুরদের জন্য যা একটি স্বাভাবিক অভ্যন্তরীণ প্রতিষ্ঠান সরবরাহ করে থাকে। তাই বলে আপনি আপনার ওজনের .৪% থেকে 10% খাবেন তা কিন্তু নয় এটি শুধু কুকুরদের জন্যই সত্য।
কুকুরকে কি ভাবে গোসল করবেন
সাধারণত কুকুর গুসল করতে ভালোবাসে না কিন্তু গোসল তাদের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে এবং পরজীবী থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।যা আপনার কুকুরকে পরিষ্কার রাখতে এবং ময়লা ও পরজীবী থেকে মুক্ত রাখতে সাহায্য করে।তাই অবশ্যই কুকুরকে গোসল করানো দরকার।
কুকুরকে গোসল করার নিয়মাবলী
- আপনার কুকুরে গোসল করানোর পূর্বে কুকুরটিকে ব্রাশ করিয়ে দিবেন। প্রতিটি কানের মধ্যে একটি করে কটন বা তুলা লাগিয়ে রাখবেন যা সংক্রমণ এবং জ্বালা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করবে।
- গোসল করানোর জন্য হালকা কুসুম গরম পানির দরকার কারণ কুকুরের ত্বক আমাদের ত্বকের থেকে আলাদা তাই পানি যদি বেশি গরম হয় তাহলে তাদের চামড়া পুড়ে যেতে পারে। মানব শিশুকে গোসল করার জন্য যত গরম পানি দরকার ততটুকুই গরম হওয়া দরকার ।
- কুকুরকে গোসল করানোর সময় তার সাথে শান্তভাবে কথা বলুন এবং অসুস্থ কণ্ঠে কথা বলবেন জোরে জোরে কথা বলবেন না তাতে করে কুকুর ভাববে আপনি তার ওপর নির্যাতন করছেন না ।
- গোসল করার সময় কুকুরের ওপর কুকুরের শ্যাম্পু ব্যবহার করুন ।মনে রাখতে হবে কুকুরের ত্বক এর তুলনায় মানুষের ত্বক বেশি শুস্ক হয় । শ্যাম্পু কুকুরের সারা শরীরে আলতো ভাবে ম্যাসেজ করুন এবং সতর্ক থাকবেন যাতে কুকুরের চোখে শ্যাম্পু না যায় । তারপর কুকুরটিকে ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করবেন।
- গোসল করার পর আপনার কুকুরটিকে টাওয়াল দিয়ে মুছে ফেলুন যদি আপনি হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করতে চান তাহলে মনে রাখুন যে মানুষের জন্য ব্যবহৃত হট এয়ার ড্রয়ার ব্যবহার করবেন না ।কারণ এটি কুকুরের দেহের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে কারণ একটি কুকুরের ত্বকের জন্য অত্যন্ত গরম ।
- গোসল করানো হয়ে গেলে কুকুরকে প্রতিদান দিন ,তার প্রশংসা করুন তার সাথে খেলবেন ।
বেশিরভাগ কুকুরকে মাসে একবার থেকে দুইবার গোসল করাতে হয় ।কিন্তু কিছু কুকুরের ত্বক তৈলাক্ত হয় সে ক্ষেত্রে সেই কুকুরকে সপ্তাহে একবার গোসল করাতে হবে। নিয়মিত গোসল আপনার কুকুর পরিষ্কার রাখতে এবং স্বাস্থ্যকর ও পরজীবী মুক্ত রাখতে সাহায্য করে
লেখকের মতামত
আমার মতে আপনার একটি ছোট কুকুর নিলে ভালো হয় তাহলে আপনার অনেক ভাবে সুবিধা হবে। ছোট কুকুর ঘরের কম জায়গার নিবে এবং খাবারের পিছে কম টাকা খরচ হবে। সাধারণত কুকুর খুবই এনার্জেটিক এবং খেলাধুলা করত থাকে তাই আপনি যদি একটি ছোট কুকুর নেন তাহলে আপনি কখনো নিজেকে একা মনে করবেন না।
আপনার যদি এই তথ্য নতুন এবং প্রয়োজনীয় মনে হয়ে থাকে তাহলে আপনি এটি আপনার পরিবার সমেদ যারা কুকুর ভালবাসে তাদের শেয়ার করতে পারেন। এবং যাদের কুকুর সম্পর্কে তথ্য জানার ইচ্ছুক তাদেরকে শেয়ার করতে পারেন এবং তথ্যগুলো গুরুত্বপূর্ণ হলে একটি ভালো কমেন্ট করে দিয়েন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url