বাংলাদেশে 9 টি জনপ্রিয় মিষ্টি আমের জাত
ডায়রিয়া হওয়ার কারণ আজকে আমাদের মেন বিষয় হল বাংলাদেশের ১০ টি জনপ্রিয় মিষ্টি আমের জাত সম্পর্কে জানা।আমরা অনেকে মিষ্টি আম খেতে খুবই ভালোবাসি। তাই আমরা যারা জানতে চাই যে সবচেয়ে মিষ্টি আম কোনটি। আমরা এই বিষয় নিয়েও কথা বলেছি তাই আর্টিকেলটি পুরোটাই পড়বেন।
আমরা এখানে আরও কথা বলেছি আশ্বিনা আম মিষ্টি আম সম্পর্কে তাই অবশ্যই আর্টিকেলটি পুরাটা পড়বেন। আপনি পুরোটা পড়লে মজা পাবেন।
ভূমিকা
আম, আম হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি ফল।আম ছাড়া যেন বছর টাই চলে না। আমার বছর খানিক অপেক্ষা করি আমের সময় আসার। তো আমরা এখানে রানী পছন্দ সম্পর্কে কথা বলেছি যারা রাজশাহীতে সবচেয়ে জনপ্রিয়। কথা বলেছি আশ্বিনা আম সম্পর্কে যা ছয় বছর আগ পর্যন্ত মানুষের মধ্যে ততটা পছন্দনীয় ছিল না। আরো কত বলেছি আম্রপালি সম্পর্কে যার মিষ্টি সম্পর্কে প্রায় সবাই জানে।
রাণী পছন্দ
রাণী পছন্দ আম হচ্ছে রাজশাহীর সবচেয়ে জনপ্রিয় আম। এই আমটি প্রত্যেকটি রাজশাহী মানুষের মনে একটি জায়গা গড়ে তুলেছে।এই আমটি দেখতে ছোট এবং গোলাকার।এই আম পাকলে হলুদ বর্ণ ধারণ করে।এর বোঁটাটি শক্ত হয়ে থাকে।এই আমটি খুবই মিষ্টি এবং এটির কোন আঁশ হয় না।রাণী পছন্দ আমটির খোসা পাতলা এবং মসৃণ হওয়ায় একটি মানুষদের মধ্যে জনপ্রিয়।
আরো পড়ুনঃ হাঁসের ডিম খেলে শরীরে কি লাভ হয়
আন্টি গাছ থেকে পারার পর ৭-৮ দিনের মধ্যে পেকে যায়।একটি আমের ওজন গড়ে ১৬৫ গ্রাম হয়ে থাকে।রাণী পছন্দ গাছটিতে প্রচুর আম হয় এবং প্রায় প্রত্যেক বছরে আম হয়ে থাকে।বাজারে এর পছন্দটা দিন দিন বেড়েই চলেছে তাই এটির বাজারে চাহিদা অনেক। এটি রাজশাহী ছাড়া অন্য অঞ্চলেও খুব পছন্দিত হয়েছে জায়গাগুলো হলোঃচাপাইনবাবগঞ্জ,নওগা ও নাটোর জেলা।
আশ্বিনা
আশ্বিনা ৬ বছর আগ পর্যন্ত খুবি কম মানুষ খেতো।আম গুলি ছিল খুব টক,কালো হয়ে যায় চামড়া এবং অধিকাংশ আম পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা করা কঠিন ছিলো।তখন আশ্বিনা আম ছিলো প্রক্রিয়াজাত খাদ্য হিসেবেই সীমাবদ্ধ।এখন আশ্বিনা আম মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে।এখন এটির চাহিদা আগের তুলনায় আনেক বেড়েছে।মৌসুমের শেষদিকে আমের দাম ১৬ হাজার টাকায় প্রতি মণ পৌঁছে যায়।
লক্ষণভোগ
লক্ষণভোগ আমের জাতটি এসেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে।এই আমের জাতটি অগ্রিম প্রজাতির তাই আমটি মৌসুমের শুরুতেই পাওয়া যায়।আতিতে রয়েছে অতুলনীয় মিষ্টি এবং সুগন্ধ।লক্ষণভোগ আমটি পাকার ৬-৮ দিন খাওয়ার যগ্য থাকে।এই আমের জাতটি চাষের জন্য বাংলাদেশের উত্তরদিকের চাঁপাইনবাবগঞ্জ,রাজশাহী জেলা বিখ্যাত।
আম্রপালি
আম্রপালি একটি হাইব্রিড আম।যেটি ১৯৭১ সালে উদ্ভাবন করা হয়।উদ্ভাবন করেন ভারতীয় কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী ড. পিযুষ কান্তি তিনি দুটি আমের জাত মজুমদার 'দশেরী' এবং 'নিলম' সংকরায়নের করিয়ে 'আম্রপালি' আমের জাতটি পেয়েছেন।পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলার চাকদহে এই আমের জাতটি প্রথম রোপণ করা হয়।
আরো পড়ুনঃ দেশি কুকুর পালন পদ্ধতি
এই আমের জাতটি বাংলাদেশে আনা হয় ১৯৮৪ সালে।এই আমের জাতটির কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে।আম্রপালি আম প্রতি বছর গাছে হয়।এই আম কয়েকটি সবচেয়ে মিষ্টি আমের মধ্যে একটি।আমের গাছ সাধারন গাছের তুলনায় একটু ছোটো। এই আম গাছের জীবনকাল ছোট। এই জাতের আমগাছে প্রতি হেক্টর ফলনে ১৬ টম আম হয়ে থাকে।
গোপালভোগ
গোপালভোগ আমটি আমের বস ল্যাংড়া আমের একদম পরের স্থান দখল করে আছে।এই আমের আকার গলাকার।গোপালভোগ আমের ওজনে ২০০ থেকে ৫০০ গ্রামের হয়ে থাকে।আমটি মৌসুমের শুরু থেকে মাঝামাঝি সময়ের পাওয়া যায়। এই আমের রং খুবই সুন্দর দেখতে এবং এটি স্বাদ খুবই মিষ্টি। আর ঘ্রাণও ভালো। এর কারণে এটি বাংলাদেশে 9 টি জনপ্রিয় মিষ্টি আমের জাত এর মধ্যে একটি।
হাড়িভাঙ্গা
আম এখন সারা বিশ্বে বিখ্যাত হয়ে গেছে আর অতুলনীয় স্বাদ এবং গন্ধ নিয়ে।এটিতে আশ নাই বললেই চলে।আমগুলি বড় হয় তিনটি আমি এক কেজি পর্যন্ত হতে পারে। এই আম গুলি খুব সহজে নষ্ট হয় না বা পচেনা। ছোট হোক বা বড় হোক বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্বাদ পাবে ছোট থেকে বড় হওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন স্বাদ বহন করে।বাংলাদেশে 9 টি জনপ্রিয় মিষ্টি আমের জাত
খিরসাপাত ও হিমসাগর
খিরসাপাত ও হিমসাগর একই দেখতে হলেও দুটি আলাদা আলাদা আম।হিমসাগর হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের একটি খুবই পছন্দিত আম এটি ভারতের ভৌগোলিক পণ্য হওয়ার নির্দেশনা দেয়।এটি বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলায় খুবই চাষ হয়।খিরসাপাত আম পেকে গেলে হলুদ বর্ণ ধারণ করে। অন্যদিকে হিমসাগর পাকার পর সবুজ বর্ণের ওপর হালকা হালকা হলুদ বর্ণ ধারণ করে।
আরো পড়ুনঃপৃথিবীর ১০ টি সবচেয়ে বৃহত্তম পর্বত
খিরসাপাত আম হিমসাগর থেকে খানিকটা আকারে বড় এবং ভোটার দিক দিয়ে কিছুটা চওড়া।
ল্যাংড়া আম
ল্যাংড়া আম একটি খুবই বিখ্যাত আমের জাত যা ভারত পাকিস্তান ও বাংলাদেশেও চাষ হয়ে থাকে। ভারতের সবচেয়ে বিখ্যাত আম হচ্ছে ল্যাংড়া আম। একটি সবচেয়ে বেশি পশ্চিমবঙ্গে চাষ করা হলেও ভারতের উত্তর দিকের অঞ্চলেও চাষ করা হয়ে থাকে। ল্যাংড়া আম পাকার পর হালকা হলুদ রং ধারণ করে। ল্যাংড়া আম জুলাই মাসর দিকেই পাকা শুরু হয়ে যায়।
ল্যাংড়া আম ব্যবহার করে অনেক ধরনের সুস্বাদু খাদ্য তৈরি করা যায়। ল্যাংড়া আম উৎকৃষ্ট আমের জাতের মধ্যে সবচেয়ে আগে। আমটি খুবই রসালো হয়ে থাকে। আমের ভিতরে মিষ্টতার পরিমাণ গড়ে ১৯.৭।আমের বোঁটা হয়ে থাকে চিকন এবং আটটি হয়ে থাকে পাতল আমটি। আম গুলো পোক্ত হওয়ার পর সংগ্রহ করার ৮-১০ ভালো থাকে।বাংলাদেশে 9 টি জনপ্রিয় মিষ্টি আমের জাত
ফজলি আম
ফজলি আম গড়ে উচ্চতায় ৭.৮ সে.মি. চওড়ায় ৯.৫ সে.মি এবং লম্বায় ১৩.৮ সে.মি হয়ে থাকে। আমগুলোর গড় ওজন ৬৫৫ গ্রাম হয়। ফজলি আম পেকে গেলে হালকা হলুদ বর্ণ ধারণ করে। আম গুলি খুবই রসালো,মিষ্টি,আঁশবিহীন এবং সুস্বাদু হয়ে থাকে। এই আমের জাতের খোসা পাতলা হয়ে থাকে। আমগুলি ভিতরে ১৭.৫ শতাংশ শর্করা হয়ে থা। আমগুলো আষাঢ়-শ্রাবণ মাসের মধ্যে পাকতে শুরু করে।
লেখকের মন্তব্য
আমার মতে আপনার সব আমি একবার ট্রাই করা উচিত। আপনি যদি পোস্টটি পুরোটা পড়ে থাকেন তাহলে আপনি জানতে পারলেন বাংলাদেশে 9 টি জনপ্রিয় মিষ্টি আমের জাত।এরপর আপনার স্বাদ অনুযায়ী আপনি যে কোন আম নির্দিষ্ট করে খেতে পারেন আর আপনার ওপরে সকল তথ্যপ্রযুক্তি কিছু নতুন জেনেছেন তাহলে অবশ্যই একটি কমেন্ট এবং শেয়ার করতে ভুলবেন না।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url